ট্যাগ আর্কাইভঃ জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনের বাণী

জাতিসংঘ দিবস উপলক্ষ্যে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন-এর বানী, ২৪শে অক্টোবর ২০১৬

featured-image-messages     এ বছরের জাতিসংঘ দিবসটি বিশ্ব এবং জাতিসংঘের সন্ধিক্ষণের একটি পর্যায়ে পালিত হচ্ছে।

২০৩০ সাল নাগাদ টেকসই উন্নয়নের মহান অঙ্গীকার পূরণের প্রতিশ্রুতিসহ মানবতা টেকসই যুগে প্রবেশ করেছে। সংস্থাটির ৭১তম বছরে, একটি সুস্থ গ্রহে সবার জন্য উন্নততর ভবিষ্যত গড়ার লক্ষ্যে নিজেদের গতিশীল করতে আমাদের রয়েছে ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা।

জীবাশ্ম জ্বালানি দাহনই সমৃদ্ধির পথ, দীর্ঘদিন পর বিশ্ব এই মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসছে। রেকর্ড উষ্ণতার একটি সময়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলো রেকর্ড সময়ের ভিতরে জলবায়ু পরিবর্তনের প্যারিস চুক্তি গ্রহণ করেছে। এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপটি আগামী ৪ঠা নভেম্বর কার্যকর হবে। সবুজতর, অধিকতর পরিষ্কার, কম কার্বন নিঃসরণের শ্রেষ্ঠ সম্ভাবনা নিহিত রয়েছে এই ঐতিহাসিক সীমারেখায়। বিস্তারিত পড়ুন

আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস উপলক্ষ্যে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের বাণী, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫

peaceday_bannerবিশ্বব্যাপী মারাত্মক সহিংসতা এবং অস্থিতিশীল সংঘর্ষকালে এ বছরের আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস পালিত হচ্ছে। হতাশার কাছে নতি স্বীকার না করে বরং আমাদের একটি সামষ্টিক দায়িত্ব রয়েছে নৃশংস্তার অবসান ঘটানোর এবং সদাবিরাজমান মুক্তির দাবি জানানো।

আমি সকল যুদ্ধরত পক্ষকে তাদের অস্ত্র সমর্পণ ও বিশ্বজনীন অস্ত্রবিরতি পালনের আহ্বান জানাই। তাদের প্রতি আমার বক্তব্য হচ্ছে হত্যাকাণ্ড ও ধংসযজ্ঞ বন্ধ করুন এবং স্থায়ী শান্তির পথ তৈরি করুন।

যদিও মনে হয় শান্তি সুদূরপরাহত কিন্তু শান্তির স্বপ্ন সকল মানুষের জীবনে বিরাজমান।
বিস্তারিত পড়ুন

আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন এর বাণী, ২১শে জুন ২০১৫

yogo.layout1এ বছর ভারত পরিদর্শনকালে আমি আমার একজন জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টার সঙ্গে যোগ অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছিলাম। যদিও তিনি ওই দেশের ছেলে, কাজটি আমি একই ভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অন্য অনেক সহকর্মীর সাথেও করতে পারতাম। যোগ একটি ঐতিহ্যবাহী পরিবেশ থেকে আসা প্রাচীন শৃঙ্খলা, যেটি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং প্রতিটি এলাকার অনুশীলনকারীদের কাছে উপভোগ্য হয়ে উঠেছে। ২১শে জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ এই ধারাবাহিক অনুশীলনের গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাগুলোকে এবং জাতিসংঘের নীতি ও চেতনার সাথে এর সহজাত উপযুক্ততাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
বিস্তারিত পড়ুন

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনের বানী, ৫ জুন ২০১৫

shutterstock_111992270_2 এ বছরের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য হলো “সাত কোটি স্বপ্ন, একটি গ্রহ, যত্ন নিয়ে ব্যবহার”।

এই গ্রহ আমাদেরকে যে পরিমান সম্পদ স্থায়িভাবে দিতে পারে মানবজাতি তার চেয়ে অনেক বেশি ব্যবহার করে যাচ্ছে। পৃথিবীর পরিবেশ চক্রের অনেক কিছুই সংকটপূর্ণ আঘাতের দিকে ধাবিত হচ্ছে। আমাদের জন্য পরিবর্তনের এখনই সময়।

স্থিতিশীল উন্নয়নের লক্ষ্য হলো পরিবেশের ক্ষতি-বৃদ্ধি ব্যাতিরেকে এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সম্পদের চাহিদার ব্যাপারে কোন আপোষ না করে সকল মানুষের জীবন-মান উন্নয়ন । পণ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে, যেমন – জালানি, পানি এবং অন্যান্য সম্পদের স্বল্প ব্যবহার  এবং খাদ্য অপচয় কমিয়ে এনে, এগুলো আমরা সঠিকভাবে করতে পারি ।

রূপান্তরের এই বছরে স্থিতিশীল উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে যখন আমরা প্রভূত উন্নয়ন অবলোকনের অপেক্ষায় আছি, আসুন, তখন আমরা পরিবেশের প্রভাব সম্পর্কে অধিকতর সচেতন হয়ে  বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন করি। আসুন, আমাদের কারনে তৈরি পরিবেশের ফলাফলগুলো সম্পর্কে চিন্তা করি। আসুন, আমরা আমাদের এই গ্রহের শ্রেয়তর সেবকে পরিনত হই। পরিবেশ দিবস ভিডিও: https://youtu.be/mYMqn4ESDDc?t=15

আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষ্যে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনের বানী

banner_peacekeeping

এ বছর আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস পালিত হচ্ছে জাতিসংঘের ৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে, যা সংস্হাটির ইতিহাসে নীল হেলমেটধারীদের অমূল্য অবদানকে সম্মান জানানোর এক সুযোগ এনে দিয়েছে। জাতিসংঘ সনদের লক্ষ্য “আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় আমাদের শক্তির সম্মিলন” এটিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম প্রাণের সঞ্চার ঘটিয়েছে। অনেক বছরের লড়াই ও ত্যাগ সাধনের পর মূর্তিমান নীল হেলমেট যুদ্ধবিদ্ধস্থ দেশগুলোতে বসবাসকারী লক্ষ লক্ষ মানুষের আশার প্রতীকে পরিণত হয়েছে।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে উৎসাহ জোগায়, যা ঝুকি ও সুযোগগুলোকে উন্নত ও উন্নয়নশীল বিশ্বের ছোট ও বড় দেশসমূহে ছড়িয়ে দেয়। আমি সৈন্য ও পুলিশ প্রেরণকারী ১২২ টি দেশের এক লক্ষ সাত হাজার-এর অধিক পোষাকধারী শান্তিরক্ষীর উচ্ছ্বসিত প্রশাংসা করছি, যারা বর্তমানে ১৬ টি মিশনে কর্মরত রয়েছে।

জাতিসংঘ গত ৭০ বছরে ৭১ টি শান্তিরক্ষা কার্যক্রম প্রতিষ্ঠা করেছে। দেশসমূহের স্বাধীনতা প্রাপ্তিতে সাহায্য, ঐতিহাসিক নির্বাচনে সহায়তা, জনগণকে সুরক্ষা, লক্ষ লক্ষ প্রাক্তন যোদ্ধাকে নিরস্ত্রকরণ, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, মাবাধিকারের উন্নয়ন সাধন ও শরনার্থীদের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরী এবং বাস্তুচ্যুত লোকদের গৃহে প্রত্যাবর্তনে সহায়তায় দশ লক্ষের অধিক লোক শান্তিরক্ষী হিসাবে সেবা প্রদান করেছেন। এ সমস্ত কর্ম সার্থকভাবে সম্পাদিত হওয়ায় আমাদের সকলের গর্বিত হওয়া উচিত। বিস্তারিত পড়ুন

আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনের বানী, ১২ আগস্ট ২০১৪

IYD 2014 bannerজাতিসংঘের একটি নতুন প্রকাশনায় উল্লেখ করা হয়েছে যে বিশ্বের যুব জনগোষ্ঠীর ২০ শতাংশ প্রতিবছর মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতির শিকার হয়। কৈশোর থেকে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার ক্রান্তিকালে এই ঝুঁকিটা অনেক প্রকট ভাবে দেখা যায়। অপমান ও লজ্জাবোধ প্রায়ই এই সমস্যাকে জটিল করে দেয়, যা তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রাপ্তি থেকে বিরত রাখে। এ বছর আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালনের জন্য জাতিসংঘ সেই পর্দা তুলে দিতে সাহায্য করতে চায় যা যুবদের একটি বিচ্ছিন্ন ও নীরব কক্ষে আবদ্ধ করে রেখেছে। বিস্তারিত পড়ুন

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনের বাণী, ৮ মার্চ ২০১৪

sg

এই আন্তর্জাতিক নারী দিবসে,আমরা নারী এবং মেয়েদের সমতা অর্জনের গুরুত্বকে প্রাধান্য দিয়েছি। কারন এটা শুধুমাত্র ন্যায্যতা এবং মানবাধিকারের মৌলিক একটি বিষয় নয়,অন্যান্য ক্ষেএের অগ্রগতিও এর উপর নির্ভরশীল।

যে সব দেশে অধিক লিঙ্গ সমতা আছে তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও অধিক ভালো। যে সব সংস্থায় অধিক নারী নেতৃত্ব আছে,তাদের কাজের অগ্রগতিও উন্নততর। শান্তি চুক্তিতে নারীদের সম্পৃক্ততা চুক্তির স্থায়িত্বকে দীর্ঘায়িত করে। যে সব সংসদে বেশি নারী সদস্য আছে সেখানে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বৈষম্যবিরোধী এবং শিশু সহায়তা বিষয়ক মূল সামাজিক বিষয়সমূহে অধিক আইন প্রনীত হয়।

এটা স্পষ্টভাবে প্রমানিত, নারীর সমতা মানে সবার অগ্রগতি।

আগামী বছর শেষ হতে যাওয়া সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রা ও ২০১৫ পরবর্তী করনীয় বিষয়গুলো নির্ধারণ এবং এগুলো এগিয়ে নেওয়ার জন্য যে কাজ আমরা করছি এই সহজ সত্যটিই হতে হবে সকল কাজের কেন্দ্রবিন্দু।

মেয়েদের প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগ এবং নারীর রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন সাধিত হয়েছে। কিন্তু এর গতি এখনও অধিক মন্থর ও অসম রয়ে গেছে।

আজও একটি কন্যা শিশুকে জন্ম গ্রহনের পর অসমতা ও বৈষম্যের মুখোমুখি হতে হচ্ছে, এক্ষেত্রে এটা বিবেচ্য বিষয় নয় শিশুটির মা কোথায় বসবাস করছে। সমান কাজের জন্য সমান পারিশ্রমিক অর্জন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহনের ক্ষেত্রে বাঁধা প্রদানের মতো বৈষম্য থেকে মুক্তি, জীবন কে প্রভাবিত করার মত সিদ্ধান্ত প্রনয়নে সমভাবে কথা বলা, সন্তান ধারনের সিদ্ধান্ত এবং সন্তান ধারন করলে কখন এবং কয়টি, ইত্যাদি বিষয় থেকে নির্যাতন মুক্ত থাকার অধিকার যা বিশ্বে প্রতি ৩ জনের একজনকে আক্রান্ত করে, এগুলো নিশ্চিত করতে আমাদের একই ধরনের বাধ্যবাধকতা আছে।

এই গ্রহের সদ্যজাত প্রতিটি কন্যাশিশু, নারী এবং মেয়ের প্রতি আমার বার্তা- মানবাধিকার এবং সমতার বিষয়টি অনুধাবন করা কোন স্বপ্ন নয়, এটি সরকার, জাতিসংঘ এবং প্রতিটি মানুষের কর্তব্য।

আমি তরুণ এবং আমার সহযোগী বন্ধুদের বলতে চাই, নিজেদের দায়িত্ব পালন করুন। আমরা সবাই উপকৃত হবো যখন নারী এবং মেয়ে অর্থাৎ আমাদের মা, বোন, বন্ধু এবং সহকর্মীরা তাদের সম্ভাবনার সবটুকু অর্জন করতে পারবে।

আসুন, নারী অধিকার, ক্ষমতায়ন এবং লিঙ্গ সমতার জন্য আমরা একত্রে কাজ করি, যা দারিদ্র দূরীকরণ এবং টেকসই উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে আমাদের প্রচেষ্টাকে সহায়তা করবে।