ট্যাগ আর্কাইভঃ আন্তর্জাতিক নারী দিবস

“নারীর ক্ষমতায়ন, মানবতার উন্নয়ন” প্রতিপাদ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০১৫ উপলক্ষ্যে গোল টেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত

1ঢাকা, ৮ মার্চঃ “নারীর ক্ষমতায়ন, মানবতার উন্নয়ন” এই প্রতিপাদ্যকে তুলে ধরে ঢাকাস্হ জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্র এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মডেল ইউনাইটেড নেশনস্ যৌথভাবে তথ্য কেন্দ্রের সভাকক্ষে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০১৫ উপলক্ষ্যে এক গোল টেবিল আলোচনার আয়োজন করে। নারীর ক্ষমতায়ন সম্পর্কিত এই আলোচনার বিষয়বস্তুগুলো ছিল কমিশন অন দ্যা স্ট্যার্টাস অব উইমেন (সিএসডাব্লিউ), বেইজিং+২০, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর অবদান, নারীর রাজনৈতিক সচেতনতা, নারীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, পরিবার হতে সঠিক আধিকারের চর্চা, নীতি শিক্ষা, গণমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ার সঠিক ব্যবহার। ঢাকাস্হ জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান আলোচনাটি সঞ্চালন করেন।  অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মডেল ইউনাইটেড নেশনস অ্যাসোশিয়েসন এর সভাপতি এম জে সোহেল, যুব সংগঠক মোঃ মামুন মিয়া এবং সাংবাদিক সাজিদ রাজু।  আলোচনার শুরুতে দিবসটি উপলক্ষ্যে জাতিষংঘ মহাসচিব প্রদত্ত একটি ভিডিও দেখানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শির্ক্ষার্থী এবং তরুণ প্রতিনিধিগণ এই আলোচনায় তাদের মতামত তুলে ধরেন।

“নারীর সমতাই হচ্ছে সবার অগ্রগতি” – আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা, ৯ মার্চ ২০১৪

iwd1

ঢাকা, ৯ মার্চ: আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্র ঢাকা, জাতিসংঘ যুব ও ছাত্র সমিতি বাংলাদেশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মডেল ইউনাইটেড নেশনস্ এ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে  ৯ই মার্চ ২০১৪ তারিখে তরুন প্রজন্মের মাঝে নারীর সমতা অর্জনের গুরুত্ব এবং  এই ব্যাপারে সচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্যে ঢাকাস্থ জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্রের লাইব্রেরীতে এক আলোচনা সভা ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারী অফিস এর পার্টনারশিপ অফিসার ডেনিয়েল নারানজিলা। জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং অনুষ্ঠানের সঞ্চালক মোঃ মনিরুজ্জামান শুরুতে স্বাগত বক্তব্য ও জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনের বাণী পাঠ করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ যুব ও ছাত্র সমিতি বাংলাদেশের সভাপতি মোঃ মামুন মিঞা।  পরে ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ছাত্র-ছাত্রীরা মূলত পারিবারিক সহিংসতা, নারীর সাম্যতা ও সবার জন্য উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়নের অন্তরায় সমূহ, উন্নত জাতির পূর্বশর্ত শিক্ষিত নারী ইত্যাদি বিষয়ের উপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। তিন সদস্যবিশিষ্ট বিচারক প্যানেল অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে সেরা চারজন বক্তা নির্ধারন করেন। পরে প্রধান ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ  বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ও সহকর্মীদের নারী দিবসের শুভেচ্ছা হিসেবে গোলাপ ফুল দিয়ে বরন করা হয়।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনের বাণী, ৮ মার্চ ২০১৪

sg

এই আন্তর্জাতিক নারী দিবসে,আমরা নারী এবং মেয়েদের সমতা অর্জনের গুরুত্বকে প্রাধান্য দিয়েছি। কারন এটা শুধুমাত্র ন্যায্যতা এবং মানবাধিকারের মৌলিক একটি বিষয় নয়,অন্যান্য ক্ষেএের অগ্রগতিও এর উপর নির্ভরশীল।

যে সব দেশে অধিক লিঙ্গ সমতা আছে তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও অধিক ভালো। যে সব সংস্থায় অধিক নারী নেতৃত্ব আছে,তাদের কাজের অগ্রগতিও উন্নততর। শান্তি চুক্তিতে নারীদের সম্পৃক্ততা চুক্তির স্থায়িত্বকে দীর্ঘায়িত করে। যে সব সংসদে বেশি নারী সদস্য আছে সেখানে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বৈষম্যবিরোধী এবং শিশু সহায়তা বিষয়ক মূল সামাজিক বিষয়সমূহে অধিক আইন প্রনীত হয়।

এটা স্পষ্টভাবে প্রমানিত, নারীর সমতা মানে সবার অগ্রগতি।

আগামী বছর শেষ হতে যাওয়া সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রা ও ২০১৫ পরবর্তী করনীয় বিষয়গুলো নির্ধারণ এবং এগুলো এগিয়ে নেওয়ার জন্য যে কাজ আমরা করছি এই সহজ সত্যটিই হতে হবে সকল কাজের কেন্দ্রবিন্দু।

মেয়েদের প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগ এবং নারীর রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন সাধিত হয়েছে। কিন্তু এর গতি এখনও অধিক মন্থর ও অসম রয়ে গেছে।

আজও একটি কন্যা শিশুকে জন্ম গ্রহনের পর অসমতা ও বৈষম্যের মুখোমুখি হতে হচ্ছে, এক্ষেত্রে এটা বিবেচ্য বিষয় নয় শিশুটির মা কোথায় বসবাস করছে। সমান কাজের জন্য সমান পারিশ্রমিক অর্জন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহনের ক্ষেত্রে বাঁধা প্রদানের মতো বৈষম্য থেকে মুক্তি, জীবন কে প্রভাবিত করার মত সিদ্ধান্ত প্রনয়নে সমভাবে কথা বলা, সন্তান ধারনের সিদ্ধান্ত এবং সন্তান ধারন করলে কখন এবং কয়টি, ইত্যাদি বিষয় থেকে নির্যাতন মুক্ত থাকার অধিকার যা বিশ্বে প্রতি ৩ জনের একজনকে আক্রান্ত করে, এগুলো নিশ্চিত করতে আমাদের একই ধরনের বাধ্যবাধকতা আছে।

এই গ্রহের সদ্যজাত প্রতিটি কন্যাশিশু, নারী এবং মেয়ের প্রতি আমার বার্তা- মানবাধিকার এবং সমতার বিষয়টি অনুধাবন করা কোন স্বপ্ন নয়, এটি সরকার, জাতিসংঘ এবং প্রতিটি মানুষের কর্তব্য।

আমি তরুণ এবং আমার সহযোগী বন্ধুদের বলতে চাই, নিজেদের দায়িত্ব পালন করুন। আমরা সবাই উপকৃত হবো যখন নারী এবং মেয়ে অর্থাৎ আমাদের মা, বোন, বন্ধু এবং সহকর্মীরা তাদের সম্ভাবনার সবটুকু অর্জন করতে পারবে।

আসুন, নারী অধিকার, ক্ষমতায়ন এবং লিঙ্গ সমতার জন্য আমরা একত্রে কাজ করি, যা দারিদ্র দূরীকরণ এবং টেকসই উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে আমাদের প্রচেষ্টাকে সহায়তা করবে।