জাতিসংঘ দিবস উপলক্ষ্যে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন-এর বানী, ২৪শে অক্টোবর ২০১৬

featured-image-messages     এ বছরের জাতিসংঘ দিবসটি বিশ্ব এবং জাতিসংঘের সন্ধিক্ষণের একটি পর্যায়ে পালিত হচ্ছে।

২০৩০ সাল নাগাদ টেকসই উন্নয়নের মহান অঙ্গীকার পূরণের প্রতিশ্রুতিসহ মানবতা টেকসই যুগে প্রবেশ করেছে। সংস্থাটির ৭১তম বছরে, একটি সুস্থ গ্রহে সবার জন্য উন্নততর ভবিষ্যত গড়ার লক্ষ্যে নিজেদের গতিশীল করতে আমাদের রয়েছে ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা।

জীবাশ্ম জ্বালানি দাহনই সমৃদ্ধির পথ, দীর্ঘদিন পর বিশ্ব এই মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসছে। রেকর্ড উষ্ণতার একটি সময়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলো রেকর্ড সময়ের ভিতরে জলবায়ু পরিবর্তনের প্যারিস চুক্তি গ্রহণ করেছে। এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপটি আগামী ৪ঠা নভেম্বর কার্যকর হবে। সবুজতর, অধিকতর পরিষ্কার, কম কার্বন নিঃসরণের শ্রেষ্ঠ সম্ভাবনা নিহিত রয়েছে এই ঐতিহাসিক সীমারেখায়।

জাতিসংঘও,  তার অষ্টম মহাসচিব থেকে নবম মহাসচিব গ্রহনের সন্ধিক্ষণে রয়েছে। বিগত দশ বছর ধরে ‘আমরাই জনগণ’-কে সেবা করতে পেরে আমি নিজেকে সম্মানিত মনে করেছি। একইসাথে,  অংশিদারিত্বমূলক উন্নতির অংশ হিসেবে আমরা কিছু দৃঢ় ভিত্তি তৈরি করেছি যেমন,  নারীর ক্ষমতায়ন, যুবসমাজকে সম্পৃক্তকরণ এবং সবার জন্য মানবাধিকার সমুন্নত রাখা, যা আরো কঠিনভাবে কাজ করার মাধ্যমে একটি শক্ত অবস্থানে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু একই সাথে আমরা অপরিমেয় মর্মবেদনা সহ্য করেছি – যার মধ্যে রয়েছে অস্থির মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ সুদান, সাহেল এবং এছাড়া আরো অনেক স্থান জুড়ে থাকা অমীমাংসিত দ্বন্দ্ব যা অপরিসীম দুর্ভোগের কারণ ঘটাচ্ছে। এইসব এবং অন্যান্য আরো সহিংসতা ও দুর্যোগ-এর সম্মুখে, পরিস্থিতির যথাযথ মোকাবিলা এবং ঝুঁকিপূর্ণ দুর্দশা লাঘবের আহ্বানে জাতিসংঘের সাহসী কর্মীরা তাদের সাড়া অব্যাহত রেখেছে।

আমি বিশ্বের সকল মানুষকে তাঁদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানাই – এবং মনোনীত মহাসচিব এ্যান্তনিও গুতেরাস-কে তাদের পূর্ণ সমর্থন জানাতে আহবান জানাই, যাতে বিশ্বব্যাপী শান্তি, টেকসই উন্নয়ন ও মানবাধিকার সম্পর্কিত আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকে।