বিভাগের আর্কাইভঃ প্রেস রিলিজ

বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস এর বাণী – ২০ জুন ২০১৮

আপনাকে যদি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত করা হয়, আপনি কী করবেন?

আজ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সংঘাত বা নিপীড়নের কারণে ৬ কোটি ৮০ লাখেরও বেশি মানুষ শরণার্থী কিংবা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যূত।

এই সংখ্যা বিশ্বের ২০তম বৃহৎ দেশের জনসংখ্যার সমান।

গত বছর প্রতি দুই সেকেন্ডে একজন করে বাস্তুচ্যূত হয়েছে।

অধিকাংশই দরিদ্রতম দেশগুলোয়।

বিশ্ব শরণার্থী দিবসে, এই মানুষগুলোকে সাহায্য করতে আরও কী কী করতে পারি আমরা, তা অবশ্যই ভাবা উচিত আমাদের।

উত্তরের শুরু ঐক্য আর সংহতিতে। বিস্তারিত পড়ুন

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস এর বাণী – ৮ মার্চ ২০১৮

Women in Brazil march for women's rights. Photo: UN Women/Bruno Spada

নারীর অধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ এক সময়ে আমরা অবস্থান করছি । ঐতিহাসিক ও কাঠামোগত যে অসমতা নিপীড়ন ও বৈষম্যের পথ সুগম করেছে, তা এর আগে এতটা প্রকাশ্য হয়নি। লাতিন আমেরিকা থেকে ইউরোপ হয়ে এশিয়া, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে, চলচ্চিত্র নির্মাণে, কারখানায়, সড়কে যে যৌন নিপীড়ন, হয়রানি ও বৈষম্য হচ্ছে, তার প্রতি শূন্য সহনশীলতা প্রদর্শন এবং স্থায়ী পরিবর্তনের আহবান জানাচ্ছে নারীরা ।

লিঙ্গ সমতা অর্জন ও নারীর ক্ষমতায়ন আমাদের সময়ের অসমাপ্ত একটি কাজ এবং এটি আমাদের এই বিশ্বে মানবাধিকারের জন্য সর্বোচ্চ চ্যালেঞ্জ ।
বিস্তারিত পড়ুন

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের তিন দশকব্যাপী সেবা ও ত্যাগ

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীরা বিভিন্ন সংস্কৃতি ধারন এবং ভিন্ন ভাষায় কথা বলে, কিন্তু তাদের কাজের উদ্দেশ্যে এক যেমন, ঝুকিপুর্ন গোষ্টীকে নিরাপত্তা প্রদান এবং দ্বন্দ থেকে শান্তির পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সংগ্রামরত দেশগুলোকে সমর্থন করা।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অভিযানে বাংলাদেশ সর্ববৃহৎ অবদানকারী দেশগুলোর একটি, দেশটি সর্বপ্রথম ১৯৮৮ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে পোশাকধারী কর্মী প্রেরন করে । গত তিন দশকব্যাপী এদেশের সাহসী পূরুষ এবং নারী বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষা মিশনে সেবা প্রদান করে অপরিমেয় অবদান রেখে চলেছে।

ডিসেম্বর ২০১৭ সাল পর্যন্ত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘের ১০টি মিশনে বাংলাদেশের সর্বমোট ৭২৪৬ জন সৈন্য ও পুলিশ কাজ করছে। এসব বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীরা বিভিন্ন ধরনের ভুমিকা পালন করে থাকেন যেমন, সুরক্ষা প্রদান, প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান এবং রাস্তাঘাট নির্মান, জাতিসংঘের নীল পতাকার অধীনে থেকেই তারা এসমস্ত দেশের সরকার ও জনগনের সেবা করছে।

এবছর শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশের অবদানের ৩০ তম বার্ষিকী। জাতিসংঘ তাদের সাহসী অবদানের স্বৃকৃতী এবং প্রশংসা জ্ঞাপন করছে।

  

 

বিশ্ব বেতার দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেসের বাণী – “বেতার এবং ক্রীড়া” – ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

 

বেতার বিশ্বের সর্বাধিক শ্রোতার কাছে পৌছায় ।

যোগাযোগের নাটকীয় উন্নয়নের এই যুগে বিনোদন, শিক্ষাদান, অবহিত করন ও অনুপ্রানিত করার ক্ষেত্রে বেতার তার ভূমিকা অক্ষুন্ন রেখেছে ।
এটি গোষ্ঠীসমূহকে ঐক্যবদ্ধ ও ক্ষমতায়ন করতে পারে এবং অবহেলিতদের কন্ঠস্বর দিতে পারে ।

এই বছর, শীতকালীন অলিম্পিক প্রস্তুতির পাশাপাশি, ক্রীড়া সম্প্রচার বিভিন্নভাবে জাগরন ও অর্জনকে ঘিরে জনগণকে যেভাবে একত্রিত করছে সেটাও আমরা স্বীকার করছি ।

বিশ্ব বেতার দিবসে আসুন আমরা বেতার এবং ক্রীড়া উভয়ই উদযাপন করি যা মানুষকে তাদের পূর্ণ সম্ভাবনা অর্জনে সহায়তা করে ।

নববর্ষ উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিব এন্টোনিও গুটেরেস-এর ভিডিও বার্তা: বিশ্বের জন্য সতর্কতা – ১ জানুয়ারী ২০১৮

সমগ্র বিশ্বের বন্ধুগণ,

শুভ নববর্ষ।

এক বছর আগে যখন আমি জাতিসংঘে যোগদান করি, তখন ২০১৭ সালকে  শান্তিপূর্ণ বর্ষে পরিণত করার  আবেদন জানিয়েছিলাম।

দুর্ভাগ্যবশত, মূলত এর উল্টোটাই ঘটেছে।

২০১৮ সালের নববর্ষের এই দিনে, আমি কোন আবেদন করছি না। আমি আমাদের এই বিশ্বের জন্য একটি সংকেত অর্থাৎ বিপদ  সংকেত জানাচ্ছি ।

সংঘর্ষ অনেক গভীর হয়েছে এবং নতুন বিপদের উথ্থান ঘটেছে।

স্নায়ু যুদ্ধ পরবর্তী পরমাণু অস্ত্রের বিষয়ে বৈশ্বিক উদ্বেগ এখন সর্বাধিক।

আমাদের চেয়ে জলবায়ুর পরিবর্তন দ্রুততর হচ্ছে । বিস্তারিত পড়ুন

জাতিসংঘ দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিব এন্টোনিও গুটেরেস এর বাণী – ২৪ অক্টোবর ২০১৭

আমাদের এই বিশ্ব নানামুখী মারাত্মক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে ।

দ্বন্দ ও অসমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে ।

চরম আবহাওয়া এবং মারাত্মক অসমতা ।

পারমাণবিক অস্ত্রশস্ত্র সহ নিরাপত্তা হুমকি ।

এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের আছে সরঞ্জাম ও সম্পদ । যেটি আমাদের দরকার তা হলো ইচ্ছাশক্তি।

বিশ্বের সমস্যাগুলো সীমান্তসমূহ অতিক্রম করেছে ।

আমাদের ভবিষ্যতকে রূপান্তরে মত পার্থক্যগুলো অতিক্রম করতে হবে।

যখন আমরা সমগ্র জনগণের মানবাধিকার এবং মর্যাদার লক্ষ্য অর্জন করবো তখন একটি শান্তিময়, টেকসই এবং ন্যায়ভিত্তিক বিশ্ব প্রতিষ্ঠিত হবে ।

আসুন এই জাতিসংঘ দিবসে, ‘আমরা জনগণ’ এই রূপকল্পকে বাস্তবতায় পরিণত করি ।

ধন্যবাদ, শুকরান, শিয়ে শিয়ে, মেরসি, স্পাছিবো, গ্রাসিয়াস, ওব্রিগাও ।

আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস ও জাতিসংঘ যুব দূত এর ভিডিও বানী

মানিকগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ-এ টুগেদার ক্যাম্পেইন

ঢাকাস্হ জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্র এবং মানিকগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ যৌথভাবে টুগেদার ক্যাম্পেইন এর ওপর কলেজ অডিটোরিয়ামে একটি সেমিনারের আয়োজন করে। টুগেদার হলো উদ্বাস্তু ও অভিবাসীদের মর্যাদা সংক্রান্ত জাতিসংঘের একটি উদ্যেগ।বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের মাননীয় যুগ্মসচিব মাহমুদ হাসান এতে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন এবং মানিকগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌস সন্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা প্রদান করেন। অন্যান্যদের মধ্যে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাবেক পরিচালক মনোয়ারা সরকার এবং মানিকগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বশিউর আহমেদ বক্তব্য রাখেন।ঢাকাস্হ জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত-কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান তার বক্তব্যে টুগেদার ক্যাম্পেইনের পটভূমি গত ডিসেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত নবম জিএফএমডি সামিট

এবং নিউইয়র্কে গত সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত অভিবাসী ও উদ্বাস্তু সংক্রান্ত শীর্ষ সম্মেলনের মূল বিষয়গুলো তুলে ধরেন। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে কয়েকটি উদাহরনসহ মানবিক বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন যেমন, প্রতিটি মানুষকে শ্রদ্ধা ও মর্যদা প্রদান। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার এই বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌস বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের উন্নয়ন এবং ভূমিকার কথা তার বক্তৃতার মাধ্যমে তুলে ধরেন এবং এ ব্যাপারে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। আলোচনা সভায় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করেন। অংশগ্রহনকারীদের মাঝে টুগেদার বিষয়ক বাংলায় প্রকাশিত প্রচারপএ বিতরন করা হয়। অনুষ্ঠানে কলেজের শিক্ষক এবং ঢাকাস্হ জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্রের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।

 

জাতিসংঘ দিবস উপলক্ষ্যে সিম্পোজিয়াম আয়োজিত

rc-ai  ২৯ অক্টোবর, ২০১৬: জাতিসংঘ দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতিসংঘ সমিতি সিরডাপ মিলনায়তনে ২৯ অক্টোবর এক সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব (দ্বিপক্ষীয় ও কনস্যুলার) জনাব কামরুল আহসান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক সমন্বয়কারী আর্জেন্টিনা মাটাভেল পিচিন সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন  ইতিহাসবিদ অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন এবং সভাপতিত্ব করেন জাতিসংঘ সমিতির সভাপতি বিচারপতি কাজী এবাদুল হক । জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান, জাতিসংঘের মহাসচিবের বাণী পাঠ করেন এবং এটি অংশগ্রহণকারীদের মাঝে বিতরণ করা হয়। সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় সাবেক স্পিকার কর্নেল(অব.) শওকত আলী এমপি। সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ ও এনজিও প্রতিনিথি, যুব প্রতিনিধি ও শিক্ষাবিদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সেমিনারের বক্তাবৃন্দ জাতিসংঘের ইতিহাসের উপর আলোক পাত করেন এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে শান্তি ও উন্নয়ন প্রক্রিয়া নিশ্চিতকরণে এগিয়ে আসা, পাশাপাশি ২০৩০ এজেন্ডা অর্থাৎ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে সহযোগিতায় আহ্ববান জানান । বাংলাদেশ জাতিসংঘ সমিতির মহাসচিব অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।