ঢাকা, ২৭ জানুয়ারি ২০১৬: আন্তর্জাতিক হলোকাস্ট দিবস উপলক্ষে গত ২৭ জানুয়ারি ২০১৬ ঢাকাস্হ জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্র হলোকাস্ট নিপিড়নের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে এক আলোচনা সভা ও পোষ্টার প্রদর্শনীর আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারী দপ্তরের মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা মিকা কানেরভাভুরি এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকাস্হ জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডঃ সায়মা আহমেদ, আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু হেনা মোস্তফা কামাল । বক্তাগণ হলোকাস্ট নিপিড়নের শিকার ব্যক্তিদের প্র্তি তাদের সমবেদনা প্রকাশ করেন এবং পৃথিবীতে যে কোন ধরনের নির্যাতন ও গণহত্যার মত নৃশংস কাজের প্র্তি নিন্দা প্রকাশ করেন। এছাড়াও বক্তাদের অনেকেই এধরণের হত্যাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে এবং প্র্তিটি ধর্মের প্র্তি শ্রদ্ধা এবং ইতিবাচক দৃষ্টভঙ্গি প্রদর্শনের কথা ব্যক্ত করেন। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন দুঃসহ দিনগুলোর কথাও স্মরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকারী সবার মাঝে জাতিসংঘ মহাসচিবের বাণী এবং জাতিসংঘ বিষয়ক পুস্তিকা প্রদান করা হয়।
মাসিক আর্কাইভঃ জানুয়ারী 2016
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন কর্তৃক এস.ডি.জি. এডভোকেট নিয়োগ
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন বিশ্ব নেতৃবৃন্দ কর্তৃক গত সেপ্টেম্বরে গৃহীত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা সমূহ অর্জনে প্রচারণামূলক কার্যক্রমে সহায়তার লক্ষ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গের নাম ঘোষণা করেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্যোগে গতি সঞ্চারণ এবং ২০৩০ সাল নাগাদ এস.ডি.জি. অর্জনে তার প্রতিশ্রুতিতে সহায়তার লক্ষ্যে নতুন নিয়োগকৃত এস.ডি.জি. এডভোকেটবৃন্দ রূপকল্প কার্যক্রম ও রুপান্তরিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে শক্তিশালী কণ্ঠ যোগ করবেন। এই ১৭টি লক্ষ্যমাত্রার উদ্দেশ্য হলো কাউকে বাদ না রেখে দারিদ্র বিলোপ, অসমতার বিরুদ্ধে লড়াই, জলবায়ুর পরিবর্তনকে নিয়ন্ত্রন করা।
এস.ডি.জি. এডভোকেটবৃন্দ বিশ্বপরিমণ্ডলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসমূহ তুলে ধরা, এর সাথে সম্পৃক্ত বৈশিষ্ট্যাসমূহ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে নতুন অংশীদারদের সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করবেন।
বিস্তারিত পড়ুন
‘আমার বয়স ৭০ বছর’ ভিডিও সিরিজ
এই আকর্ষণীয় ভিডিও সিরিজটি সেইসব মহিমান্বিত ব্যাক্তিদের নিয়ে তৈরি করা হয়েছে যারা সবাই ৭০ বছর বয়সি এবং একই সঙ্গে তারা সেই বছরে জন্মগ্রহণ করেন যে বছর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তিনটি সিরিজে সাজানো এই স্বল্পদৈর্ঘ্য ভিডিওগুলোতে তারা সবাই তাদের নিজস্ব মনোভাব, না ভোলা কিছু স্মৃতি, ক্রমধারা ও আদর্শ নিয়ে কথা বলেছেন যা আমাদের সবাইকে অনুপ্রাণিত করে।
আমার বয়স ৭০ বছর (I am 70) সিরিজের ১ম পর্বে জনাব টম হফম্যান, যিনি কিনা হলোকস্ট এ বেঁচে যাওয়া একজন ব্যক্তি, খুবই আবেগপ্রবণ ভাবে আলোচনা করেছেন কিভাবে ঐ যুদ্ধ তার জীবনকে গঠন করেছে এবং কিভাবে জাতিসংঘের আদর্শ গুলো তাকে অনুপ্রাণিত করে।
আমার বয়স ৭০ বছর (I am 70) সিরিজের ২য় পর্বে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি- মুন যুদ্ধ বিধ্বস্ত কোরিয়ায় তার বেড়ে ওঠার গল্প বলেছেন। আরো বলেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে তার ভূমিকা, আর ভবিষ্যৎ নিয়ে তার আশার কথা।
এই সিরিজের ৩য় পর্বে কথা বলেছেন ডাঃ উষা রায়, যিনি একজন ভারতীয় ডাক্তার। তিনি নারী শিক্ষার গুরুত্ব, মাঠ পর্যায়ে মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োজনীয়তা এবং জাতিসংঘ কিভাবে উভয় ক্ষেত্রেই ভূমিকা রাখতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
২০১৬ হলো এগিয়ে যাবার বছর – টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাঃ আমাদের বিশ্বকে রূপান্তরের জন্য ১৭ টি লক্ষ্য
টেকসই উন্নয়ন এজেণ্ডাকে সামনে রেখে ২০১৬ সাল-কে এগিয়ে যাওয়ার বছর হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। “আমাদের বিশ্বকে রূপান্তরঃ ২০৩০ এর টেকসই উন্নয়ন এজেণ্ডা” শিরোনামের নতুন লক্ষ্যমাত্রাসমূহ জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র দ্বারা গৃহীত হয় যাতে দারিদ্র বিলোপ, অসমতার বিরুদ্ধে লড়াই, জলবায়ুর পরিবর্তনকে নিয়ন্ত্রন এবং কাউকে বাদ না রেখেই কি ভাবে আরো টেকসই বিশ্ব গড়ে তোলা যায়, তা নিশ্চিত করতে ১৭ টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ও ১৬৯ টি লক্ষ্য বস্তু ঠিক করা হয়েছে। এস.ডি.জি. সমূহ এমন ভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে যা স্বভাবতই সারা বিশ্বব্যাপী প্রয়োগযোগ্য, বাস্তব পরিস্থিতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং প্রতিটি দেশের জাতীয় নীতি এবং অগ্রাধিকারের কথা বিবেচনায় রাখা হয়েছে।