কক্সবাজার, ২১ অক্টোবর ২০১৪:জাতিসংঘের ৬৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও জাতিসংঘের জন্মদিনকে উদযাপনের লক্ষ্যে সমুদ্র সার্ফার, লাইফ গার্ড ও স্বেচ্ছাসেবকদের অংশগ্রহনে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে একটি মনোজ্ঞ ও দৃষ্টিনন্দন ফ্ল্যাশ মবের আয়োজন করা হয়। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা, সরকারী কর্মকর্তা, এনজিও কর্মী, তরুণ দল এবং স্থানীয় জনগণ এই আকর্ষনীয় ফ্ল্যাশ মবটিতে অংশগ্রহন করেন । স্থানীয় জনগনের মাঝে দিবসের বার্তা পৌঁছে দিতে টি-শার্ট, ব্যানার, পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড ব্যাবহার করা হয়। বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া অনুষ্ঠানটি ধারণ ও প্রচার করে। অনুষ্ঠানস্থলে একটি রক্তদান কর্মসূচীরও আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান দুটি যৌথভাবে আয়োজন ও তত্ত্বাবধান করে ঢাকাস্থ জাতিসংঘ তথ্যকেন্দ্র, জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা এবং জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা। জাতিসংঘের কমিউনিকেশন টিম ও জাতিসংঘ কান্ট্রি টিমের পরিকল্পনায় ‘সাতটি বিভাগ, সাতটি পথনাট্য, সাতটি এমডিজি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। ফ্ল্যাশ মব লিঙ্কঃ :
মাসিক আর্কাইভঃ অক্টোবর 2014
জাতিসংঘ দিবসে কক্সবাজার শহীদ মিনারে ‘সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা’ বিষয়ে পথনাটক মঞ্চস্থ
কক্সবাজার, ২১ অক্টোবর ২০১৪: জাতিসংঘ দিবস পালন উপলক্ষ্যে ঢাকাস্থ জাতিসংঘ তথ্যকেন্দ্র (UNIC Dhaka), জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (UNHCR) ও জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (UNESCO) যৌথভাবে কক্সবাজার জেলায় সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ২য় লক্ষ্য অর্থাৎ সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ে গত ২১ অক্টোবর ২০১৪ একটি পথনাটকের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানটির মূল উদ্দেশ্য ছিল সমাজের সকল স্তরের মানুষের মাঝে প্রাথমিক শিক্ষার ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করা যা জীবনব্যাপী শিক্ষা ও জ্ঞানার্জনের ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা প্রাথমিক শিক্ষার অগ্রগতির অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে তাদের প্রতিশ্রুতির কথা পুনঃব্যক্ত করেন। ত্রাণ, শরণার্থী ও প্রত্যাবসন বিষয়ক কমিশনার ও বাংলাদেশ সরকারের যুগ্ম সচিব জনাব ফরিদ উদ্দিন ভুইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলঙ্কৃত করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক জনাব রুহুল আমিন। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার প্রতিনিধি স্টিনা লাংডেল অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাপান দূতাবাসের অনারারি কন্সাল জেনারেল মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মোস্তাক আহমেদ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এস. এম. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সহকারী পুলিশ সুপার নতুন চাকমা এবং সহকারী সিভিল সার্জন ডা. মহিউদ্দিন মো. আলমগীর। ঢাকাস্থ জাতিসংঘ তথ্যকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব মোঃ মনিরুজ্জামান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, সরকারী কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, স্বেচ্ছাসেবক, সুশীল সমাজ ও সাধারণ জনগণ সহ প্রায় ৫ শতাধিক লোক অনুষ্ঠানটিতে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও কক্সবাজার শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এক রক্তদান কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। জাতিসংঘের কমিউনিকেশন টিম ও জাতিসংঘ কান্ট্রি টিমের পরিকল্পনায় ‘সাতটি বিভাগ, সাতটি পথনাটক, সাতটি এমডিজি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল ঢাকাস্থ জাতিসংঘ তথ্যকেন্দ্র, জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ও জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা।
জাতিসংঘ দিবস উপলক্ষ্যে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২ বিষয়ে কক্সবাজার জেলায় সংবাদ সম্মেলন
কক্সবাজার, ২১ অক্টোবর ২০১৪: জাতিসংঘ দিবস উপলক্ষ্যে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরা ও সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ঢাকাস্থ জাতিসংঘ তথ্যকেন্দ্র, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা এবং জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা যৌথভাবে কক্সবাজার UNHCR সাব-অফিসে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের প্রায় ৫০ জন সাংবাদিক এই প্রেস ব্রিফিংয়ে অংশগ্রহন করেন। বাংলাদেশে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রতিনিধি স্টিনা লাংডেল জাতিসংঘ দিবস উদযাপন ও সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সাফল্য সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার প্রোগ্রাম অফিসার শিরিন আখতার বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষার পরিস্থিতি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। এরপর সাংবাদিকগণ একটি প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন এবং সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২ সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেন। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার উপ-দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ এতে অংশ নেন। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নির্মিত একটি ভিডিও অংশগ্রহনকারীদের মাঝে প্রদর্শিত হয়। সাংবাদিকদের জাতিসংঘের তথ্যসামগ্রীসহ একটি করে প্রেস-কিট প্রদান করা হয়। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার কক্সবাজার উপ-দপ্তরের সহায়তায় অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল ঢাকাস্থ জাতিসংঘ তথ্যকেন্দ্র, জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা এবং জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা।