ট্যাগ আর্কাইভঃ বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস

বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০১৬ : সেমিনার এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন

An autistic student is seen taking part in danceঢাকা,  ০২ এপ্রিল ২০১৬: বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস  উপলক্ষে গত ০২ এপ্রিল ঢাকাস্হ জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্র এবং আনন্দ নিকেতন ইউরোপিয়ান স্কুল (এএনইএস) যৌথভাবে স্কুলের আলোচনা কক্ষে এক সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে স্কুলের চেয়ারপার্সন ড. মাহমুদুল হাসান উদ্বোধনি বক্তব্য প্রদান করেন এবং মনোবিজ্ঞানী ও অটিজম বিশেষজ্ঞ মিস নারসিস রহমান মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। ঢাকাস্হ জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান তার বক্তব্যে অটিস্টিক ব্যাক্তিদেরকে মূলধারায় সম্পৃক্তকরনে নীতি নির্ধারক, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং ব্যাবসায়িক মহল সহ সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে তথ্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা মিস মমতাজ বেগম দিনটি উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিবের বাণী পাঠ করেন এবং আনন্দ নিকেতন ইনক্লুসিভ স্কুলের সমন্বয়ক মিস রোমেলা মুর্শেদ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।  অনুষ্ঠানে  ইনক্লুসিভ স্কুলের শিশুরা নাচ ও সঙ্গীত পরিবেশন করে। এতে শিক্ষার্থী, অভিভাবক , শিক্ষক ও অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষ্যে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন এর বাণী, ২ এপ্রিল ২০১৬

Participants at the UN General Assembly special event on the occasion of World Autism Awareness Day: ‘Autism and the 2030 Agenda: Inclusion and Neurodiversity.’ UN Photo/Rick Bajornas২০৩০ সাল নাগাদ টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা অর্জনের উচ্চাভিলাষী ও সর্বজনীন চ্যালেঞ্জ অনুধাবনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন যাত্রা শুরু করছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার আলোকে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে অটিজম আক্রান্ত ব্যাক্তিদের সমান অংশগ্রহণ ও কার্যকর সংশ্লিষ্টতা অপরিহার্য।

অটিজম একটি আজীবন পরিস্থিতি, যার শিকার বিশ্বের লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ। অনেক দেশেই এটি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নেই এবং অধিকাংশ সমাজই অটিজম আক্রান্ত ব্যাক্তিদের এড়িয়ে চলে।

এটি একটি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও মানব সম্ভাবনার অপচয়। আমি অটিজম আক্রান্ত ব্যাক্তিদের মধ্যে গতিশীলতা ও প্রতিশ্রুতি অবলোকন করেছি। এ বছরের শুরুতে নিউইয়কস্থ জাতিসংঘ সদর দফতরে এমন একজন যুবকের সাথে আমার কথা বলার সৌভাগ্য হয়েছিলো। কিভাবে আমরা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারি সে ব্যাপারে তার অভিনব দৃষ্টিভঙ্গির কথা শুনে আমি সত্যিই অভিভূত হয়েছি।
বিস্তারিত পড়ুন

অটিষ্টিক শিশুদের অংশগ্রহণে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উদযাপন

01ঢাকা, ৫ এপ্রিল ২০১৫: বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকাস্হ জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ প্রতিবন্ধি ফাউনডেশন যৌথভাবে অটিষ্টিক আক্রান্ত শিশুদের অংশগ্রহণে বিপিএফ অডিটোরিয়ামে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চিত্র প্রদর্শনী এবং আলোচনা সভার আয়োজন করে। উদ্বোধনী বক্তব্যে জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান অটিষ্টিক সংক্রান্ত চ্যালেজ্ঞসমূহ মোকাবেলায় কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণে নীতিপ্রনেতা এবং স্বেচ্ছাসেবা সংগঠনসমূহকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান। বিপিএফ এর নিবার্হী পরিচালক ডাঃ শামিম ফেরদৌস এর সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে ঢাকা আহছানিয়া মিশনের পরিচালক (কমিউনিকেশন) কাজী আলী রেজা প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। বক্তাগণ তাদের বক্তব্যে অটিজম সমস্যার বিভিন্নদিক তুলে ধরেন এবং এর সচেতনতার উপর গুরুত্বারোপ করেন। অটিজম আক্রান্ত শিশুদের অংশগ্রহণে নৃত্যানুষ্ঠান এবং সঙ্গীত পর্ব অনুষ্ঠিত হয় যেখানে দুই শতাধিক শিশু, অবিভাবক, শিক্ষক এবং অতিথি উপস্হিত ছিলেন।

বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা, চিত্র ও হস্ত শিল্প প্রদর্শনী এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন-৩ এপ্রিল ২০১৪

01ঢাকাস্থ জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্র ও বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশন (বিপিএফ) যৌথভাবে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকাস্থ বিপিএফ অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা অনুষ্ঠান, চিত্র ও হস্ত শিল্প প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিপিএফ-এর নির্বাহী পরিচালক ড. শামিম ফেরদৌস-এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান। দর্শকদের মাঝে “অটিষ্টিক স্পেক্টার্ম ডিসঅর্ডারের” উপর একটি ভিডিও দেখানো হয়। দিবসটি উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনের বাণী বাংলায় পাঠ এবং অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের এর কপি বিতরন করা হয়। এছাড়াও অটিষ্টিক স্কুলের শিশুদের অংশগ্রহণে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান অনুষ্ঠানের শুরুতে এক চিত্র ও হস্ত শিল্প প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে প্রায় তিন শতাধিক অটিষ্টিক শিশু ও তাদের অভিভাবকেরা অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনের বাণী, ২ এপ্রিল ২০১৪

autismdayএ বছরের বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস অটিজম স্পেক্টার্ম সম্পন্ন ব্যক্তিদের সৃষ্টিশীল মনকে উদযাপন এবং তাদের বিশাল সম্ভাবনাকে অনুধাবন করে তাদের সহায়তাকল্পে আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনব্যত্ত করার এই সুযোগ এনে দিয়েছে।

অটিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিবর্গ যথা – অবিভlবক, শিশু, শিক্ষক, এবং বন্ধু প্রত্যেকের সাথে মিলিত হওয়া আমার জন্য এক অমূল্য অভিজ্ঞতা। তাদের শক্তি উৎসাহব্যঞ্জক। তারা শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও একত্রিত হওয়ার জন্য সম্ভাব্য সকল সু্যােগ পাওয়ার যোগ্য।

আমাদের সমাজের অগ্রগতি পরিমাপ করতে হলে আমাদের এই বিষয়গুলো ক্ষতিয়ে দেখা উচিত যে, অটিজমে আক্রান্ত ব্যক্তি, সমাজে যারা ভিন্ন যোগ্যতা সম্পন্ন, তারা কতটুকু পূর্নমর্যাদাবান সদস্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এবং একসাথে কাজ করতে পারছে।

শিক্ষা এবং কর্মসংস্থান হলো চাবিকাঠি। বিদ্যালয় শিশুদেরকে তাদের সম্প্রদায়ের সাথে যুক্ত করে। কর্মসংস্থান প্রাপ্ত বয়স্কদেরকে তাদের সমাজের সাথে যুক্ত করে। অটিজমে আক্রান্ত ব্যাক্তিও একই পথে হাটার যোগ্যতা রাখে। ভিন্ন প্রকার শিক্ষা গ্রহনের যোগ্যতাসম্পন্ন শিশুদের মূলধারা ও বিশেষায়িত বিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্তিকরনের মাধ্যমে আমরা আচরণের পরিবর্তন ও শ্রদ্ধাবোধ বাড়াতে পারি। অটিজমে আক্রান্ত প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির মাধ্যমে আমরা তাদেরকে সমাজের সাথে একত্রিত করতে পারি।

বিস্তারিত পড়ুন