মাসিক আর্কাইভঃ আগস্ট 2016

জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্র কর্তৃক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসডিজি ক্যাম্পেইন উদ্বোধন

১৬ আগস্ট ২০১৬: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ আআমস আরেফিন সিদ্দিক গত ১৬ আগস্ট  ঢাকাস্থ  জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্র আয়োজিত ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতিসংঘ সমিতির সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এসডিজি বিষয়ক এক ক্যাম্পেইন এর উদ্ধোধন করেন। উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে মাননীয় উপাচার্য বলেন যে, এমডিজি অর্জনে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখিয়েছে এবং তিনি আশা প্রকাশ করেন যে এই প্রবণতা এসডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও অব্যাহত থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে ক্যাম্পেইন এর উদ্বোধনকালে তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের ইতিবাচক ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সময়ে জাতিসংঘের বেশকিছু সংস্থার অবদানের কথা স্মরণ করেন।
জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, জাতীয় পর্যায়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার বার্তাসমূহ প্রচার এবং এগুলোকে ধারণ করার জন্য সর্বজনীন অংশগ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে তরুণদের অংশগ্রহণও নিশ্চিত করতে হবে। ডুমুনা এবং জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্র যৌথভাবে  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘমেয়াদী এসডিজি প্রচারণা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ঐক্যমত প্রকাশ করে। ডুমুনার মডারেটর ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ডঃ দেলোয়ার হোসেন তার উদ্বোধনীতে বক্তব্যে এই প্রচারণমূলক কার্যক্রমে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। ডুমুনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানটিতে অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্ব মানবতা দিবস উপলক্ষ্যে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন এর বানী, ১৯ আগস্ট ২০১৬

featured-image-sgmessageআজ রেকর্ড পরিমাণ ১৩ কোটি মানুষ বেঁচে থাকার জন্য মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। এই সাহায্য প্রার্থী মানুষদের এক সঙ্গে দলবদ্ধ করা হলে পৃথিবীর দশম জনবহুল দেশ গঠিত হবে ।

এই সংখ্যাগুলো সত্যিই বিস্ময়কর, কিন্তু তা এই ঘটনার একটি ভগ্নাংশ মাত্র ।  এই পরিসংখ্যানের পিছনে লুকায়িত আছে ব্যক্তি, পরিবার ও সম্প্রদায় যাদের জীবন এখন  বিধ্বস্ত।  আপনার ও আমার প্রতি অভিন্ন মানুষ, যেমন  শিশু, নারী এবং পুরুষ তারা  প্রতিদিন অসম্ভব সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হচ্ছে। এই মাতাপিতাগন তাদের সন্তানদের জন্য হয় খাদ্য অথবা ঔষধ কেনার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন।  এই ছেলেমেয়েরা হয় স্কুলে যাওয়া অথবা পরিবারকে সহায়তায় কাজে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছে।  এই পরিবারগুলো হয় বোমাবর্ষণের ঝুঁকিসহ বাড়িতে অবস্থান করছেন অথবা বাধ্য হচ্ছেন বিপদজ্জনক ভাবে সমুদ্র পাড়ি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে।

এই সংকট যা এই মানুষগুলোকে আশাহীন কষ্টে ফেলে দিয়েছে তা সমাধানের উপায় সহজ বা তড়িৎ নয়।   কিন্তু  কিছু জিনিষ আছে, যা আমরা সবাই আজ এবং প্রতিদিন করতে পারি । আমরা সমবেদনা দেখাতে পারি, আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারি, এবং আমরা পরিবর্তনের জন্য কাজ করতে পারি। বিস্তারিত পড়ুন