নিউইয়র্ক, ৭ এপ্রিল ২০১৬: গত ডিসেম্বরে ঐতিহাসিক প্যারিস সম্মেলনে গৃহীত জলবায়ু পরিবর্তন চুক্তির স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেকর্ড সংখ্যক দেশ স্বাক্ষর করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ২২শে এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি আয়োজন করবেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন।
অনুষ্ঠানের প্রথম দিন ২২ শে এপ্রিল, চুক্তিতে স্বাক্ষর করার জন্য উন্মুক্ত থাকবে যেখানে ১৩০টি দেশ স্বাক্ষর করবে বলে নিশ্চিত করেছে। প্রথম দিনে একটা চুক্তিতে এত বেশি দেশের স্বাক্ষর করার ক্ষেত্রে ১৯৮২ সালে মন্টেগু বে তে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন চুক্তিতে ১১৯ দেশের স্বাক্ষরের রেকর্ড ভঙ্গ করবে। অন্যদিকে অনেক দেশ অনানুষ্ঠানিকভাবে উল্লেখ করছে যে তারা চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে যাতে প্রতি সপ্তাহে দ্রুত স্বাক্ষরের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়া ওলাদসহ বিশ্বের ৫০ এরও অধিক রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানগণ এতে উপস্থিত থাকবেন। কিভাবে প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়ন ও সম্প্রসারণ করা যায় তার পথপ্রদর্শন ও পারস্পরিক মেলবন্ধন সম্পর্কে বিশ্বনেতারা আলোচনা করবেন।
এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি প্যারিস চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে যাত্রা শুরু করবে। চুক্তি বাস্তবায়নের পদক্ষেপ ৩০ দিনের মধ্যে ৫৫টি দেশে নেওয়া হবে যাতে করে বৈশ্বিক গ্রীন হাউজ গ্যাস ৫৫ শতাংশ কমানো যায়। জাতিসংঘের মহাসচিবের সাথে সমর্থন ও গ্রহণযোগ্যতায় দেশগুলো কার্বন নিঃসরণে তাদের সরঞ্জাম মজুদ করবে। কিছু দেশ অঙ্গীকার করেছে যে ২২ শে এপ্রিলের চুক্তির পরেই তারা তাদের সরঞ্জাম মজুদ করবে।
২২শে এপ্রিলের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সুশীল সমাজ ও ব্যক্তি খাত আলোচনা করবে যে কিভাবে জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে অর্থায়ন করা যায় এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা যায়। বৈশ্বিক তাপমাত্রা দ্রুত কিভাবে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমানো যায় সে বিষয়েও আলোচনা হবে। প্যারিস চুক্তিকে ঐতিহাসিক হিসেবে আখ্যা দিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন কেবল আমরা শুরু করলাম , জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় দ্রুত আমাদের সক্ষমতা বাড়াব। আমি ২২শে এপ্রিলে সকল দেশকে প্যারিস চুক্তিতে স্বাক্ষর করার জন্য উৎসাহিত করব যাতে করে আমরা বাস্তবায়ন করার উৎসাহ পাই। …Details
মাসিক আর্কাইভঃ এপ্রিল 2016
রুয়ান্ডা গনহত্যা দিবস পালন: আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ, নাটিকা, মোমবাতি প্রজ্বলন
ঢাকা, ৭ এপ্রিল ২০১৬: রুয়ান্ডা গনহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকাস্থ জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্র ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভারসিটি (ডিআইইউ) যৌথ ভাবে গত ৭ এপ্রিল ২০১৬ ডিআইইউ অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে। রুয়ান্ডা গনহত্যার শিকার ব্যাক্তিদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানমালার শুরু হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য অংশ ছিল আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ ও নাটিকা প্রদর্শন। অনুষ্ঠানে বক্তাগন গনহত্যার মত ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধে সবাইকে জোড়ালো কন্ঠে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান এবং গভীর শ্রদ্ধার সাথে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং মুক্তিযোদ্ধাদের কথা স্মরণ করেন যারা মাতৃভূমির জন্য প্রান বিসর্জন দিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ এম. ইসলামের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ তথ্য কমিশনের প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. মো: গোলাম রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মাহমুদ হাসান ও ঢাকাস্থ জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান। এতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিস্তারিত পড়ুন
বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০১৬ : সেমিনার এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন
ঢাকা, ০২ এপ্রিল ২০১৬: বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে গত ০২ এপ্রিল ঢাকাস্হ জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্র এবং আনন্দ নিকেতন ইউরোপিয়ান স্কুল (এএনইএস) যৌথভাবে স্কুলের আলোচনা কক্ষে এক সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে স্কুলের চেয়ারপার্সন ড. মাহমুদুল হাসান উদ্বোধনি বক্তব্য প্রদান করেন এবং মনোবিজ্ঞানী ও অটিজম বিশেষজ্ঞ মিস নারসিস রহমান মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। ঢাকাস্হ জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান তার বক্তব্যে অটিস্টিক ব্যাক্তিদেরকে মূলধারায় সম্পৃক্তকরনে নীতি নির্ধারক, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং ব্যাবসায়িক মহল সহ সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে তথ্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা মিস মমতাজ বেগম দিনটি উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিবের বাণী পাঠ করেন এবং আনন্দ নিকেতন ইনক্লুসিভ স্কুলের সমন্বয়ক মিস রোমেলা মুর্শেদ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানে ইনক্লুসিভ স্কুলের শিশুরা নাচ ও সঙ্গীত পরিবেশন করে। এতে শিক্ষার্থী, অভিভাবক , শিক্ষক ও অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।