১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। দিবসটি সব জাতির সকল মানুষের জন্য একটি মর্যাদাপূর্ণ সাধারণ মানদণ্ডের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এ বছর আমরা মৌলিক স্বাধীনতা, যা মানবাধিকারকে তুলে ধরে এবং যা এখনও বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বে প্রাসঙ্গিক যেমন, ভয় ও দারিদ্র্যতা থেকে মুক্তি, বাক-স্বাধীনতা ও নিজ নিজ ধর্ম পালনের স্বাধীনতা, এ বিষয়গুলো স্মরণ করি। ২০১৫ সালের প্রতিপাদ্য ও শ্লোগান হলোঃ “আমাদের স্বাধীনতা – আমাদের অধিকার, চিরন্তন”।
বাংলাদেশ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আটটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং এর ফলে দেশটি কোন প্রকার বৈষম্য ব্যতিরেকেই প্রতিটি ব্যক্তি ও জনগনের নাগরিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক অথবা রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করতে অঙ্গিকারাবদ্ধ। অনেক বছর ধরেই বাংলাদেশ নারী ও কিশোরীদের প্রতি বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং শিশু অধিকার নিশ্চিত করার মত বিষয়গুলো নিয়ে জাতিসংঘের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক রিপোর্টিং-এ সম্পৃক্ত ছিল এবং মানবাধিকার কাউন্সিলের ধর্ম ও বিশ্বাসের স্বাধীনতা বিষয়ক বিশেষ র্যাপোর্টিয়ারের বাংলাদেশ সফরের আয়োজন করে। বাংলাদেশ বর্তমানে মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য এবং দেশটি একটি মানবাধিকার কমিশন গঠন করেছে, যার ফলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের দায়িত্ব অনেক বেড়েছে। এর মাধ্যমে স্পষ্ট ভাবে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সাথে মানবাধিকারকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের কাজ করার ইচ্ছার প্রকাশ ঘটে।
বিস্তারিত পড়ুন