মাসিক আর্কাইভঃ মে 2015

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস পালিত

Hon'ble Prime Minister hands over gift to injured peacekeepersঢাকা, ৩১ মে ২০১৫: আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস এবং শান্তিরক্ষা মিশনে নিহত ও আহত বাংলাদেশী সৈন্যদের সম্মান জানাতে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৩১ মে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে নিহত ও আহত বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের সম্মানিত করা হয়। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা প্রদান করেন এবং নিহত শান্তিরক্ষীদের পরিবারের সদস্য ও আহত শান্তিরক্ষীদের হাতে ক্রেস্ট ও পুরস্কার তুলে দেন। মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সশস্ত্র বাহিনীর ৩ প্রধান, পররাষ্ট্র সচিব, পুলিশের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ও উদ্ধর্তন সামরিক কর্মকর্তারা এই সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারী রবার্ট ওয়াটকিন্স তার সূচনা বক্তব্যে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের প্রশংশা ও নিহত শান্তিরক্ষীদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন। সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ ও বেসামরিক কর্মকর্তা, মন্ত্রী, এমপি, শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজের সদস্য, জাতিসংঘ কর্মকর্তা ও কূটনীতিবিদসহ দেড় হাজারের অধিক অংশগ্রহণকারী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া একই দিন সকালে সশস্ত্র বাহিনী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে একটি পিস রানের আয়োজন করা হয় যেখানে মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধান অতিথি ও জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। – ছবিঃ এ এফ ডি

আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষ্যে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনের বানী

banner_peacekeeping

এ বছর আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস পালিত হচ্ছে জাতিসংঘের ৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে, যা সংস্হাটির ইতিহাসে নীল হেলমেটধারীদের অমূল্য অবদানকে সম্মান জানানোর এক সুযোগ এনে দিয়েছে। জাতিসংঘ সনদের লক্ষ্য “আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় আমাদের শক্তির সম্মিলন” এটিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম প্রাণের সঞ্চার ঘটিয়েছে। অনেক বছরের লড়াই ও ত্যাগ সাধনের পর মূর্তিমান নীল হেলমেট যুদ্ধবিদ্ধস্থ দেশগুলোতে বসবাসকারী লক্ষ লক্ষ মানুষের আশার প্রতীকে পরিণত হয়েছে।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে উৎসাহ জোগায়, যা ঝুকি ও সুযোগগুলোকে উন্নত ও উন্নয়নশীল বিশ্বের ছোট ও বড় দেশসমূহে ছড়িয়ে দেয়। আমি সৈন্য ও পুলিশ প্রেরণকারী ১২২ টি দেশের এক লক্ষ সাত হাজার-এর অধিক পোষাকধারী শান্তিরক্ষীর উচ্ছ্বসিত প্রশাংসা করছি, যারা বর্তমানে ১৬ টি মিশনে কর্মরত রয়েছে।

জাতিসংঘ গত ৭০ বছরে ৭১ টি শান্তিরক্ষা কার্যক্রম প্রতিষ্ঠা করেছে। দেশসমূহের স্বাধীনতা প্রাপ্তিতে সাহায্য, ঐতিহাসিক নির্বাচনে সহায়তা, জনগণকে সুরক্ষা, লক্ষ লক্ষ প্রাক্তন যোদ্ধাকে নিরস্ত্রকরণ, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, মাবাধিকারের উন্নয়ন সাধন ও শরনার্থীদের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরী এবং বাস্তুচ্যুত লোকদের গৃহে প্রত্যাবর্তনে সহায়তায় দশ লক্ষের অধিক লোক শান্তিরক্ষী হিসাবে সেবা প্রদান করেছেন। এ সমস্ত কর্ম সার্থকভাবে সম্পাদিত হওয়ায় আমাদের সকলের গর্বিত হওয়া উচিত। বিস্তারিত পড়ুন

আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস পালিত

FD02ঢাকা, ১৬ মে ২০১৫: আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস উপলক্ষে ঢাকাস্থ জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্র, ওয়ার্ল্ডওয়াইড ফ্যামিলি লাভ মুভমেন্ট, ঢাকা আহছানিয়া মিশন ও ধ্রুবতারা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন যৌথভাবে ১৬ই মে ঢাকার আহছানিয়া মিশন মিলনায়তনে একটি সেমিনার আয়োজন করে। ঢাকা আহছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. এহসানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব জনাব মোঃ তারিকুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জুগ্ম-সচিব এবং জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান। আরও বক্তব্য রাখেন ডব্লিউ ডব্লিউ এফ এল এম-এর চেয়ারপার্সন তাজকেরা খায়ের ও ধ্রুবতারার নির্বাহী পরিচালক অমিয় প্রাপণ চক্রবর্তী। বক্তাগণ তাদের বক্তৃতায় পারিবারিক জীবনের সমসাময়িক সমস্যা ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে পরিবারের সদস্যদের ভূমিকার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। দিবসটি উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিবের বাণী পাঠ করেন অমৃতা দাশ। বিভিন্ন পেশার প্রায় শতাধিক অংশগ্রহণকারী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এসকাপ অর্থনৈতিক এবং সামাজিক জরিপ ২০১৫ প্রকাশ

01গত ১৪ এপ্রিল এসকাপ অর্থনৈতিক এবং সামাজিক জরিপ ২০১৫ এক সাংবাদিক সম্মেলন ও মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ঢাকাস্হ জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্র এবং জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারী অফিস যৌথভাবে এসকাপের সহযোগিতায় রির্পোটটি প্রকাশ করে। প্রকাশনা অনুষ্ঠানের শুরুতে এসকাপ এর নির্বাহী পরিচালক ড. শামশাদ আক্তার প্রদত্ত একটি ভিডিও বাণী প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানে রির্সোস পার্সন হিসাবে বক্তব্য উপস্থাপণ করেন এসকাপের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ড. সৈয়দ নুরুজ্জামান, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষনা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) এর মহাপরিচালক ড. কে. এ. এস মুর্শিদ এবং ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর মিস পলিন থেমাসিস। ঢাকাস্হ জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে গনমাধ্যমের প্রতিনিধিগণ প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেন। এছারাও অর্থনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজ, গবেষক, যুব প্রতিনিধি এবং শিক্ষাবিদবৃন্দ মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ।