মাসিক আর্কাইভঃ সেপ্টেম্বর 2014

জাতিসংঘ-বাংলাদেশ: অংশীদারিত্বের ৪০ বছর – সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারে মাস-ব্যাপী প্রদর্শনীর পুন:প্রদর্শন

07ঢাকা, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪: বিগত ৪০ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের অবদানকে তুলে ধরে গত  ৩০সেপ্টেম্বর ২০১৪ সুফিয়া কামাল জাতীয় গণ-গ্রন্থাগারে ১ মাস ব্যাপী জাতিসংঘ সংস্থার কর্মকান্ড বিষয়ে এক প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। বাংলাদেশে কর্মরত জাতিসংঘের  সংস্থার কার্যক্রমের সাফল্যগুলো এই প্রদর্শনীতে তুলে ধরা হয়েছে। জাতিসংঘ-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৪০ তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এই  প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ইউনিসেফ  বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি  প্যাসকেল ভিলনোভ এবং গণ-গ্রন্থাগার বিভাগের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ: হাফিজুর রহমান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী অফিস, ঢাকাস্থ জাতিসংঘ তথ্যকেন্দ্র ও গণ-গ্রন্থাগারের কর্মকর্তাবৃন্দ। ইউনিসেফ প্রতিনিধি তার উদ্বোধনী বক্তব্যে বাংলাদেশে জাতিসংঘ সংস্থাগুলোর কার্যক্রম তুলে ধরে  এই বিষয়ে সরকারের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি গন-গন্থাগার প্রাঙ্গণে জাতিসংঘ সংস্থাকে এই প্রদর্শনীটি স্থাপনের অনুমতি দেয়ার জন্য গনগন্থাগার কর্তৃপক্ষকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান। প্রদর্শনীটি চলবে জাতিসংঘ দিবস – ২৪ অক্টোবর ২০১৪ পর্যন্ত। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ইউনিসেফ প্রতিনিধি গন-গন্থাগারের মহাপরিচালক ও জাতিসংঘের অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে গন্থাগারটি পরিদর্শন করেন এবং গন্থাগার ব্যবহারকারীদের সাথে কথা বলেন। এই সময় ইউনিসেফ প্রতিনিধিকে বেশ কিছু দুর্লভ সংগ্রহ দেখানো হয়। জাতিসংঘের পক্ষে  ঢাকাস্থ জাতিসংঘ তথ্যকেন্দ্র ও  জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী অফিস মাসব্যাপী এই প্রদর্শনীর সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করে।

 

জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ প্রাপ্তির ৪০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনের বার্তা

173378নিউ ইয়র্ক, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪: জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ প্রাপ্তির ৪০তম বার্ষিকী উদযাপনে শরীক হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

আমার স্মৃতি থেকে কিছু ঘটনা তুলে ধরছি। ১৯৭৩ সালে একজন কুটনৈতিক কর্মকর্তা হিসেবে নয়া দিল্লীতে কর্মরত থাকা অবস্থায়, যে দলটি আমার দেশের সাথে বাংলাদেশের একটি কূটনৈতিক বন্ধন প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিল , আমি তাঁর একজন সদস্য ছিলাম। যখন আমি প্রথমবারের মত এ দেশে এসেছিলাম, এদেশের তৎকালীন পরিস্থিতি আমাকে অনেক নাড়া দেয়, কেননা এটা আমাকে কোরিয়ার যুদ্ধের পর আমার দেশের অবস্থার কথা মনে করিয়ে দিয়েছিল। তখন বাংলাদেশে এতটা ঘাটতি ছিল যে এদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকর্মীর জন্য আমাকে একটুকরো কাগজ ছিড়ে দিতে হয়েছিল যেন তারা আমাকে একটি নথি লিখে দিতে পারে।

সেই সময়েই, দারিদ্র, ধ্বংসস্তুপ ও মানুষের দুর্বিপাক সত্ত্বেও একটি নতুন দেশ গড়ে তোলার জন্য সবাই দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ ছিল।
বিস্তারিত পড়ুন

জব ওপেনিং: ন্যাশনাল ইনফরমেশন অফিসার (এনও-সি), ঢাকা

ঢাকাস্থ জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্র (ইউনিক) – এর জন্য ন্যাশনাল ইনফর্মেশন অফিসার (এনও–সি) লেভেল-এ নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে । বিস্তারিত তথ্যের জন্য নিম্নের লিঙ্কগুলো দেখুনঃ
  • এই পদের কর্তব্য ও দায়িত্বসমূহ
  • আবেদন করার নিয়মাবলী

আবেদনপত্র গ্রহনের শেষ সময়ঃ ১৭ অক্টোবর ২০১৪

বাংলাদেশের জাতিসংঘে সদস্য প্রাপ্তির ৪০তম বার্ষিকী পালন, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪

জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ প্রাপ্তির ৪০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪  ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাংলাদেশের জাতিসংঘ কান্ট্রি টিম এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যৌথভাবে, ‘বাংলাদেশ ও জাতিসংঘঃ অংশীদারিত্বের ৪০ বছর’ শীর্ষক একটি সেমিনার ও প্রদর্শনীর আয়োজন করে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলঙ্কৃত করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী নিল ওয়াকার জাতিসংঘ ও বাংলাদেশের অংশীদারিত্বের উপর গুরুত্ব প্রদান করে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য প্রদান করেন মাননীয় অর্থমন্ত্রী জনাব আবুল মাল আ. মুহিত, এমপি,  মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী জনাব আবুল হাসান মাহমুদ আলী, এমপি এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জনাব মোঃ শাহরিয়ার আলম, এমপি। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ জাতিসংঘ সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক সালাহউদ্দিন আহমেদ। সর্বসাধারণের জন্য ‘বাংলাদেশ ও জাতিসংঘঃ অংশীদারিত্বের ৪০ বছর’ শীর্ষক একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।  গত ৪০ বছরে বাংলাদেশে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলো তুলে ধরে দিয়ে প্রদর্শনীটি সাজানো হয়। মন্ত্রীগণ ও সুশীল সমাজের সদস্যসহ সকল স্তরের মানুষ এই ঐতিহাসিক প্রদর্শনীটি পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে একটি সাংস্কৃতিক পর্বের আয়োজন করা হয়।  এছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতার বিজয়ী শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। ঢাকাস্থ জাতিসংঘ তথ্যকেন্দ্র অনুষ্ঠানটির আয়োজকদলের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত ছিল।