মাসিক আর্কাইভঃ এপ্রিল 2014

নাটিকা, কবিতা পাঠ, মোমবাতি প্রজ্বলন, আলোচনা ও পোষ্টার প্রদর্শনীর মাধ্যমে রুয়ান্ডা গনহত্যার ২০তম বার্ষিকী পালন – ৭ এপ্রিল ২০১৪

genocideগত ৭ এপ্রিল ২০১৪ ঢাকাস্থ জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্র ও ইউনিভার্সিটি অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি এন্ড সায়েন্সেস (ইউআইটিএস)-এর যৌথ উদ্যোগে রুয়ান্ডা গনহত্যার ২০তম বার্ষিকী ও গণহত্যার শিকার ব্যাক্তিদের স্মরণে ইউআইটিএস অডিটোরিয়ামে এক সেমিনার, পোস্টার প্রদর্শনী, কবিতা পাঠ , মোমবাতি প্রজ্বলন ও নাটিকার আয়োজন করা হয়। ইউআইটিএস-এর উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের মাননীয় মহিলা সাংসদ কবি কাজী রোজী। অনুষ্ঠানে সন্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ ও সিসবি- এর চেয়ারম্যান কাজী আলী রেজা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান ও জাতিসংঘ মহাসচিবের বাণী পাঠ করেন জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান। এছাড়াও রুয়ান্ডা শান্তি মিশনের বাস্তব অভিজ্ঞতাবর্ণনা করেন ইউআইটিএস-এর পরিচালক (প্রশাসন) লে. কর্নেল (অব.) খায়রুল বাশার। অধিকাংশ আলোচকবৃন্দ গণহত্যা কিভাবে মানবতাকে ভূ-লুন্ঠিত করে তা তাদের আলোচনার মাধ্যমে তুলে ধরেন। পরে রুয়ান্ডা গণহত্যার শিকার ব্যাক্তিদের উদ্দ্যেশে মোমবাতি প্রজ্বলনের মাধ্যমে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। মানবাধিকার বিষয়ক কবিতা পাঠ করেন দেশের খ্যাতনামা কবিবৃন্দঃ কবি কাজী রোজী, এম.পি, কবি শিহাব সরকার, কবি মুহাম্মদ সামাদ এবং কবি আসলাম সানি। এছাড়াও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটীর নাট্যগোষ্ঠী “অল স্টার ড্যাফোডিল” কর্তৃক একটি মানবাধিকার বিষয়ক নাটিকা মঞ্চস্থ হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে দিনব্যাপি এক পোস্টার প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়।

বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা, চিত্র ও হস্ত শিল্প প্রদর্শনী এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন-৩ এপ্রিল ২০১৪

01ঢাকাস্থ জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্র ও বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশন (বিপিএফ) যৌথভাবে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকাস্থ বিপিএফ অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা অনুষ্ঠান, চিত্র ও হস্ত শিল্প প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিপিএফ-এর নির্বাহী পরিচালক ড. শামিম ফেরদৌস-এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান। দর্শকদের মাঝে “অটিষ্টিক স্পেক্টার্ম ডিসঅর্ডারের” উপর একটি ভিডিও দেখানো হয়। দিবসটি উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনের বাণী বাংলায় পাঠ এবং অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের এর কপি বিতরন করা হয়। এছাড়াও অটিষ্টিক স্কুলের শিশুদের অংশগ্রহণে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান অনুষ্ঠানের শুরুতে এক চিত্র ও হস্ত শিল্প প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে প্রায় তিন শতাধিক অটিষ্টিক শিশু ও তাদের অভিভাবকেরা অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনের বাণী, ২ এপ্রিল ২০১৪

autismdayএ বছরের বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস অটিজম স্পেক্টার্ম সম্পন্ন ব্যক্তিদের সৃষ্টিশীল মনকে উদযাপন এবং তাদের বিশাল সম্ভাবনাকে অনুধাবন করে তাদের সহায়তাকল্পে আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনব্যত্ত করার এই সুযোগ এনে দিয়েছে।

অটিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিবর্গ যথা – অবিভlবক, শিশু, শিক্ষক, এবং বন্ধু প্রত্যেকের সাথে মিলিত হওয়া আমার জন্য এক অমূল্য অভিজ্ঞতা। তাদের শক্তি উৎসাহব্যঞ্জক। তারা শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও একত্রিত হওয়ার জন্য সম্ভাব্য সকল সু্যােগ পাওয়ার যোগ্য।

আমাদের সমাজের অগ্রগতি পরিমাপ করতে হলে আমাদের এই বিষয়গুলো ক্ষতিয়ে দেখা উচিত যে, অটিজমে আক্রান্ত ব্যক্তি, সমাজে যারা ভিন্ন যোগ্যতা সম্পন্ন, তারা কতটুকু পূর্নমর্যাদাবান সদস্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এবং একসাথে কাজ করতে পারছে।

শিক্ষা এবং কর্মসংস্থান হলো চাবিকাঠি। বিদ্যালয় শিশুদেরকে তাদের সম্প্রদায়ের সাথে যুক্ত করে। কর্মসংস্থান প্রাপ্ত বয়স্কদেরকে তাদের সমাজের সাথে যুক্ত করে। অটিজমে আক্রান্ত ব্যাক্তিও একই পথে হাটার যোগ্যতা রাখে। ভিন্ন প্রকার শিক্ষা গ্রহনের যোগ্যতাসম্পন্ন শিশুদের মূলধারা ও বিশেষায়িত বিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্তিকরনের মাধ্যমে আমরা আচরণের পরিবর্তন ও শ্রদ্ধাবোধ বাড়াতে পারি। অটিজমে আক্রান্ত প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির মাধ্যমে আমরা তাদেরকে সমাজের সাথে একত্রিত করতে পারি।

বিস্তারিত পড়ুন